• ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নলছিটি শিক্ষা অফিসের বদরুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ 

পল্লী অঞ্চল ডেস্ক
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ণ
নলছিটি শিক্ষা অফিসের বদরুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ 

পল্লী অঞ্চল ডেস্ক 

মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠটীকা প্রস্তুত, শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা, প্রাত্যহিক সমাবেশ এবং সে অনুযায়ী ক্লাস নেয়া ও শিক্ষকদের নিয়মিত ডায়েরি অনুসরণ করাসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হচ্ছে কি না সেগুলো দেখভাল করার জন্য সরকার প্রতি উপজেলায় একাডেমিক সুপারভাইজার নিয়োগ দিলেও নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাডেমিক সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে পরিদর্শন না করার অভিযোগ উঠেছে।

সুত্রে জানা যায়, নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একাডেমিক সুপারভাইজার হিসেবে বদরুল আমিন প্রায় ১০ বছর আগে যোগাদান করেন।অথচ সরকারি নিয়ম অনুসারে একই কর্মস্থলে একসঙ্গে তিন বছরের বেশি চাকরি করা চাকরির বিধি-বিধান পরিপন্থী। তিনি নিয়ম অমান্য করে একই স্থানে দীর্ঘ বছর যাবৎ বহাল তবিয়াতে কাজ করে যাচ্ছেন।

বছরের পর বছর একই কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের ফলে অনিয়ম-দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতায় জর্জরিত হয়ে গেছেন। আরো জানা গেছে, নিয়মিতভাবে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকি না করে নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করে যাচ্ছেন। বছরে দু’একবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন খাতাপত্রে স্বাক্ষর করে তার সক্রিয়তা ঠিক রাখছেন। নানাবিধ অসুবিধার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তার কাজের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানিয়েছেন, একজন একাডেমিক সুপারভাইজারের কাজ হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত ‘পারফর্মেন্সে বেইজড ম্যানেজমেন্ট’ শক্তিশালী করা। অথচ কোন নিয়মই অনুসরণ করছেন না তিনি।কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন একমাস তো দূরের কথা ছয় মাসেও তাদের বিদ্যালয়ে আসেননি।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিনের কাছে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন আমি প্রায় ১০ বছর এখানে কর্মরত আছি তাতে আপনার সমস্যা কি। আপনার মনে চাইলে নিউজ করেন তাতে আমার কিছুই হবেনা।

 

নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মু. আনোয়ার আজিম বলেন, সে অনেক বছর যাবৎ এখানে কর্মরত আছেন, তবে এক্ষেত্রে আমার কিছু করার নাই। এটা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখভাল করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন