নিজস্ব প্রতিবেদকগ
গাজীপুরসহ সারা দেশে একযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। সম্প্রতি দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, নাশকতা, সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণসহ নানা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড ও গাজীপুরে ছাত্র—জনতার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান। সাধারণ মানুষ এ অভিযানকে স্বাগত জানালেও বরিশালের বেলায় ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। দেশজুড়ে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে বরিশাল মেট্রোপলিটন এড়িয়াতে তেমন কেউ গ্রেপ্তার নেই।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা—কর্মীদের ধরতে গেলে পুলিশকে নিতে হয় বিএনপির মতামত। আবার ফ্যাসিস্টদের গ্রেপ্তার না করতে বিএনপি’র একাধিক নেতা সুপারিশ করেন। এমন অভিযোগ খোদ থানা পুলিশের। সব মিলিয়ে এখানে “পুলিশ—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভাই ভাই” সম্পর্ক।বরিশাল বিএনপির কার্যালয় আগুন দিয়ে পোড়ানো মামলায় আসামীও ঘুরছে রাজপথে থানা পুলিশ বলছে অব্যহত আছে অভিযান।খোদ বরিশালে রাঘব বোয়াল আটক করতে না পাড়লেও চুনোপুটি নিয়েই সন্তষ্ট থাকতে হচ্ছে।
বরিশালে ডেভিল হান্টে দুই এক দিন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন আটক থাকলে বড় কোন নেতা আটক নেই এই অভিযানে তবে স্থানীয়দের অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেয়র সাদেক আবদুল্লার এক খলিফা নিরব হোসেন টুটুল বাহিনীর তারা সবাই বিগত আ’লীগ সরকারের আমলে চালিয়েছেন সন্ত্রাসী তান্ডব তারা এখন ডেভিল হান্টেও আটক না হওয়ার কারনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় সাধারন মানুষ।টুটুল বাহিনীর প্রধান মূল হোতা মিরাজ শিকদার ওরফে ডানো মিরাজ গা ঢাকা দিয়ে থাকলে ও বাকিরা রয়েছেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিজ নিজ স্ব এলাকায় রয়েছেন বহাল ত্ববিয়াতে।
নগরী ঘুরে দেখা যায় বরিশালের টুটুল বাহিনীর মিরাজ শিকদার,কালু শিকদার,মজিবর শিকদার,নাইম সিকাদার,সেলিম সিকাদার,শাকিল সিকাদার,সবুজ সিকাদার,নয়ন সিকাদার,নিজাম সিকাদার ওরফে সিডা নিজাম,সাকিব সিকদার,ওরফে গাব সাকিব,মিথুন শিকদার,ইয়ার সিকদার,মুন্না সিকদার,মৃদুল শিকদার,লেপন সিকদার ওরফে লেপনা,সবাই এলাকায় ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে তবে ডেভিল হান্টে তারা আটক না হওয়াতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন শিকদার থানা পুলিশের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদেশে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে অন্যান্য থানায় গ্রেপ্তার কার্যক্রম চলমান থাকলেও বরিশালের থানায় তেমন কোন ডেভিল গ্রেপ্তার নেই বললেই চলে। ফাসিস্টদের দোসরদের গ্রেপ্তার না করতে যদি কোন বিএনপি নেতা পুলিশকে নিষেধ করে তাহলে সেইসব নেতাদের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের অভহিত করার জন্য পুলিশের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপির নেতারা পুলিশের কোন কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করিনা। তবে পুলিশ যদি অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তার না করে সেটাও দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বরিশাল মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টে শুক্র ও শনিবার দুইদিনে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৮ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্টে মোট কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি তথ্য পরে দিবেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, কোন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার হলেও তারা ডেভিল হান্টের আওতায় পরবে।