পল্লী অঞ্চল ডেস্ক
নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,কুলকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নলছিটি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচএম আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। ২০২২ সালে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা বাচ্চু সম্প্রতি বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় আপত্তিকর অবস্থায় এক নারীর সাথে ধরা পড়েছেন।
বুধবার (২৬ মার্চ) গভীর রাতে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে স্থানীয় জনতা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ঘটনার সময় বাচ্চুর সঙ্গে এক যুবতীও ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ফ্ল্যাটের অন্য রুম থেকে আসা এক নারী তাদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিলেও পরে যুবতী এই পরিচয় অস্বীকার করেন। শারমিন (ছদ্মনাম) নামের ওই যুবতী জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী নন, বরং এর আগেও তারা একাধিকবার এই ফ্ল্যাটে রাত্রী যাপন করেছেন।
স্থানীয় জনতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাচ্চুকে তড়িঘড়ি করে শারমিনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় কাজি ডেকে ১০ লক্ষ টাকা কাবিন ধার্য করে বিয়ে সম্পন্ন করা হয় বলে জানান স্থানীয় এক বাসিন্দা ।
এদিকে, বিয়ের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে বাচ্চু পুনরায় আত্মগোপনে চলে যান। তবে, এ ঘটনায় নলছিটির তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেক নেতাকর্মী বাচ্চুর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লজ্জা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এক যুবতীকে চাকরি ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় বাচ্চু কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও পরবর্তীতে ধর্ষণের সহযোগী আসামি মোর্শেদাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে বাচ্চুর বিরুদ্ধে দলীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে নলছিটির স্থানীয় রাজনীতি এবং সোস্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
