পল্লী অঞ্চল
নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় ‘প্রবাসী’ গোলাম রাব্বির স্ত্রী এক সন্তানের জননী নাসরিন জাহিদুল ইসলাম নামের এক পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নাসরিন ভূট্রো বাজার এলাকার আঃ ছালাম এর মেয়ে ও মসজিদের ইমাম জাহিদুল দপদপিয়া ইউনিয়নের চরকয়া গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ড কয়া গ্রামে এমদাদুল বিশ্বাস এর ছেলে।
নিখোঁজ হওয়ায় ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে স্বামী গোলাম রাব্বি মোল্লা। ঘটনাটি ঘটেছে নলছিটি উপজেলার ৯নং দপদপিয়া ইউনিয়ের দপদপিয়া গ্রামে।
গোলাম রাব্বি মোল্লা জানান, নাসরিন আক্তার’কে ঢাকায় ভাড়া বাসায় রাখিয়া কাতার চলে যাই। প্রবাস থাকা অবস্থায় আমি জানতে পারি যে, মসজিদের ইমাম জাহিদুল ইসলামের সাথে প্রায় সময়ই অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আমি ঘটনার খবর জানতে পারিয়া আমার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশে ছুটি নিয়ে চলে আসি।
আমি বাংলাদেশে আসার দুই মাস পূর্বে আমার স্ত্রী আমার পিতা-মাতার সাথে বরিশাল নগরীর বেলতলা বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকা থেকে চলে আসে। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে পুনরায় পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় ও বরিশাল বাসা থেকে কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে চলে যায়। উহার প্রেক্ষিতে আমি বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। সাধারণ ডায়েরী করার পরে আমি কাউনিয়া থানা-পুলিশের সহযোগীতায় আমার স্ত্রীকে ঢাকা তাহার বোনের বাসায় খুজে পাই।
আমি আমার ছেলের ভবিষ্যতের জন্য আমার স্ত্রীকে পুনরায় আমার সাথে আমার পিতার বাড়ী দপদপিয়ায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে সে ২,২০,০০০/-(দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা এবং কাতার থেকে আনা ০২ ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন, ০৮ আনা ওজনের একটি স্বর্নের আংটি নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
পরে আমি অনেক খোঁজাখুজি করিয়া গত গত ৬ জুন ২০২৫ইং রাতে তার অবস্থান খুজে পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই। তখন পরকীয়া প্রেমিকাসহ তার লোকজন আমাকে ভীতি-খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির কিছু লোকজন নিয়ে আমাকে জিম্মি রাখে। ঘটনার সময় স্থানীয় আওয়ামী নেতা হাসান বিশ্বাসসহ এলাকার লোকজন আমাকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হইলে আমি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করিলে নলছিটি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়া তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে।