নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্কে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়া তৎকালীন বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন শিমুলকে গত ১৮ জুলাই প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। ওই সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেও ঘটনার ২ মাস না পেরোতেই নারীকেন্দ্রিক ঘটনা ঘটিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এই এসআইকে এয়ারপোর্ট থানায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নগরীজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানায় পোস্টিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে এসআই মাহবুব হোসেন শিমুল এ থানায় যোগদান করেছেন।
এসআই মাহবুব হোসেন শিমুলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আপনার (প্রতিবেদক) সাথে পরে কথা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পার্কে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে এসআই মাহবুব হোসেন শিমুল ধরা পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু যার স্ত্রীকে নিয়ে ওই এসআই ঘুরতে গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল, সে ব্যক্তি তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য বা প্রমাণপত্র দেয়নি। এ কারণে এসআই মাহবুব হোসেন শিমুলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর বেলস পার্ক এলাকায় এক যুবকের স্ত্রীকে নিয়ে এসআই মাহবুব হোসেন ঘুরতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। ওই সময় ওই নারীর স্বামী ও তার বন্ধুদের তোপের মুখে পড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন এসআই মাহবুব। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। বিষয়টি মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে এলে তাকে থানা থেকে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।