• ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনস্বাস্থ্যের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের

পল্লী অঞ্চল ডেস্ক
প্রকাশিত অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১৪:৩৪ অপরাহ্ণ
জনস্বাস্থ্যের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক 

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে জনস্বাস্থ্য বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা আ. আজিজ খানের ছেলে ভুক্তভোগী খান মাইনউদ্দিন এ অভিযোগ দায়ের করেন।

 

‎অন্য অভিযুক্তরা হলেন, নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার) রূপকুমার সাহা, মেকানিক শামিম হোসেন ও তার স্ত্রী মেকানিক সাদিয়া হোসেন। ‎অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৪ সালে ভুক্তভোগী খান মাইনউদ্দিন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ে সাবমার্সিবল পাম্প/গভীর নলকূপের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ সালের একটি সাবমার্সিবল পাম্প (নলকূপ) বরাদ্দ দেয়া হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও বরাদ্দকৃত নলকূপ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়নি।

 

শুধুমাত্র পাইপ বসিয়ে কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। যে পাইপগুলো বসানো হয়েছে তা খুবই নিম্নমানের। নলকূপ বসানোর কাজ তদারকি দায়িত্বে ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রূপকুমার সাহা। তার অনিয়ম ও গাফেলতির কারণে অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরআগে মেকানিক শামিম হোসেন নিজেকে প্রকৌশলী পরিচয় দিয়ে অভিযোগকারীর কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই ঘুষের টাকা না দেয়ায় মেকানিক শামিম ও তার স্ত্রী মেকানিক সাদিয়া নলকূপ বসানোর কাজে নিম্নমানের পাইপ ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেন। এ বিষয় অবগত হয়ে খান মাইনউদ্দিন তাদের স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে গত ১৭ এপ্রিল জনস্বাস্থ্যের বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলাম কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

কিন্তু তিনি শামিম ও তার স্ত্রী সাদিয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে যান। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ‎অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মেকানিক শামিম ও তার স্ত্রী সাদিয়া এক যুগের অধিক সময় ধরে একই স্থানে কর্মরত আছেন। চাকরির মাত্র ৮-৯ বছরেই নলছিটির সবুজবাগ এলাকায় ৪ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কানাঘুষা চলছে। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন