• ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জাগঞ্জে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সোহাগের আতংকে এলাকাবাসী 

পল্লী অঞ্চল ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১৬:১৮ অপরাহ্ণ
মির্জাগঞ্জে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সোহাগের আতংকে এলাকাবাসী 

মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মহিষকাটা নিবাসী বেলায়েত হোসেন মৃধার ছেলে সোহাগ মৃধার বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে মহিষকাটার মানুষ অতিষ্ঠ। সোহাগ মৃধা বিগত কোরবানির ঈদে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে উপহার দেয়া কালো মানিকের মালিক। যদিও চেয়ারপারসন সোহাগের উপহার গ্রহণ করেননি।

 

রুহুল আমিন নামে একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, নিজস্ব বসত বাড়ীতে থাকার জন্য ঘরের কাজ ধরলে সেখানে এসে ২৫০,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করিলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মহিষকাটা বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি অফিসের ভিতরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। শুধু তাই নয় রুহুল আমিনের ভাড়াটিয়াকে ঘর থেকে নামার জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিষয়টি অভিযোগ হিসেবে আমলে নিয়ে এসআই সাখাওয়াত (০১৭১৪৮৩৪০৭০) হোসেনকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও মির্জাগন্জ সেনা ক্যাম্পে সোহাগ মৃধা ও শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগ করা হয়েছে।

 

অনুসন্ধানে জানাযায়, গত কোরবানি ঈদের দু’দিন পরে উত্তর ঝাটিবুনিয়ার মামুন সিকদার (০১৭১২০৪৫৭৭৪) নামে একজনের কাছে ঢাকায় চেয়ারপার্সনকে উপহারের গরু ঢাকা থেকে ফেরত আনায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে বলে চাঁদা দাবি করে। এছাড়াও গত কোরবানি ঈদের পরে মহিষকাটা বাজারের দবিরের চায়ের (০১৭৯৯১৩৫৯৭৬) দোকান পরপর দু’বার ভাংচুর করার অভিযোগ রয়েছে। ভাইরাল সোহাগ মৃধার বিরুদ্ধে কাফুলা গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা হাবিবুর রহমানের (০১৭২৭৭৩৯৬০২) অনেক টাকার গাছ জোর করে কেটে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৩ নং আমড়া গাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকের প্রতিক্ষ মদদে তার ভাতিজা সোহাগ এবং খালাতো ভাই শাহীন মৃধার নেতৃত্বে মহিষকাটা বাজারে একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। শুধু চাঁদাবাজিতে সীমাবদ্ধ নয় এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে এরা জড়িত। ভাইরাল সোহাগ মৃধা ও শাহীন মৃধা মাদক ও জুয়ার আসর থেকে মির্জাগঞ্জ ও বেতাগী থানায় বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়ে হাজত খেটেছিলো। সোহাগ মৃধা ও শাহীন মৃধার একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী আছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

 

সোহাগ মৃধার দলের কোন পদ নাই সে নেত্রী কে গরু দিতে গেছে নেত্রী গরু নেয় নাই নেত্রী গরু কোরবানি দিয়া জনগণ কে খাওয়াতে বলছে। সেই গরু সে কোরবানী করে নাই সে একাধিক বার মাদক মামলায় জেল খেটেছে আর এ সব কাজে তার সহযোগী শাহিন মৃধা তারা দুজন মিলে মহিষ কাটা বাজারে একটা কিশোর গ্যাং গ্রুপ চালাচ্ছে।

 

সোহাগ বেতাগী থানায় ২০১৪ সালের ৬ পিচ ইয়াবাসহ ধরা খাইয়া জেল খাটছে। ২০১২ সালে মির্জাগঞ্জ থানায় মাদক ও জুয়ার কোর্টসহ হাতে নাতে ধরা খাইছে পুলিশের হাতে। ইহা ছাড়াও লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া তার পরিবার কে বাড়ী ছাড়া করা তিনি জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে বিচার দিয়ে ও কোন ফল পাননি, আরও সোহাগ আকনের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া জোর করে তার গাছ কেটে নেওয়া , মামুন সিকদার এ-র কাছে চাঁদা দাবি আরও অনেক অভিযোগ এ-ই সোহাগের বিরুদ্ধে।

সোহাগের বিরুদ্ধে রুহল আমিন পিতা সোহরাব সিকদার উত্তর ঝাটি বুনিয়া গত ৭.৮.২৫ বাদি হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন। খোজ নিয়ে জানাযায়, মহিষ কাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিক ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দীনের মদদে এসব চাঁদাবাজী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।

 

মির্জাগঞ্জের মহিষকাটা এলাকাবাসী পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কাছে দাবি করেন, এরা দলের সুনাম নষ্ট করছে তাই কোন জরুরি ভাবে পদক্ষেপ না নিলে এরা দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন